বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া ১ লাখ কোটি টাকা, কারা কত পেল

সাড়ে ১৪ বছরে ১০৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ পেয়েছে।

বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদের সাড়ে ১৪ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার পেছনে ব্যয় হয়েছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল অর্থ পেয়েছে শুধু ভাড়া বাবদ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া ব্যয়ের চিত্র প্রকাশ করেন। তাঁর দেওয়া হিসাব বলছে, এই সরকারের তিন মেয়াদে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৭৩টি আইপিপি (স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী) ও ৩০টি রেন্টাল (ভাড়ায় চালিত) বিদ্যুৎকেন্দ্রকে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ/রেন্টাল পেমেন্ট) দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে থাকুক বা না থাকুক, চুক্তি অনুসারে কেন্দ্রভাড়া পায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যাকে ক্যাপাসিটি চার্জ বলা হয়। সরকার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের যুক্তি হলো, কেন্দ্রভাড়া না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। তাদের আরেকটি যুক্তি হলো, বাসাভাড়া নিয়ে সেখানে কেউ না থাকলেও ভাড়া দিতেই হয়।

এখন যে মানুষকে বিদ্যুতের চড়া দাম দিতে হচ্ছে, তার একটি বড় কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অযৌক্তিক ভাড়া।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম শামসুল আলম

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ও জ্বালানি-বিশেষজ্ঞদের মত, কেন্দ্রভাড়া নির্ধারণ করতে হয় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে প্রতিযোগিতা ছাড়া, ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের অধীনে। আইনটি দায়মুক্তি আইন নামে পরিচিত। এতে কেন্দ্রভাড়া বেশি পড়েছে। বেশি লাভবান হয়েছেন বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপুল সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ততটা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় না। ফলে সব সময়ই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশকে বসিয়ে ভাড়া দিতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম শামসুল আলম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এখন যে মানুষকে বিদ্যুতের চড়া দাম দিতে হচ্ছে, তার একটি বড় কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অযৌক্তিক ভাড়া।

উল্লেখ্য, সরকার বিগত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম পাইকারিতে ১১ বার ও খুচরায় ১৩ বার বাড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় সারা দেশে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি লোডশেডিং প্রায় বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যথেষ্ট জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় লোডশেডিং করতে হয়। আরেকটি দিক হলো, চাহিদা পুরোটা পূরণ করতেও এত বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরকার নেই।

সংসদে হিসাব

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ দেওয়া হয়। তখন থেকে এ খাতে দেশি বিনিয়োগ বাড়ে। সব মিলিয়ে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো, যদিও বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় সারা দেশে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি লোডশেডিং প্রায় বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যথেষ্ট জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় লোডশেডিং করতে হয়। আরেকটি দিক হলো, চাহিদা পুরোটা পূরণ করতেও এত বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরকার নেই।

বিদ্যুতের বিপুল উৎপাদন সক্ষমতার বিপরীতে বিপুল কেন্দ্রভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। কেন্দ্রভাড়ার হিসাবটি প্রকাশ করা হয় গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে। তিনি জাতীয় সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে কোন কোন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে কী পরিমাণ কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে? ওই সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক কোন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান? তাদের সঙ্গে সরকারের চুক্তির শর্ত কী কী?

সংসদে তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হলো যে কী বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার পেছনে ব্যয় হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কেন্দ্রভাড়ার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে গত বছর জুলাইয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার ব্যয়ের বাৎসরিক হিসাব তুলে ধরেছিল। বলা হয়েছিল, ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রভাড়া দিতে হয়েছিল ১৮ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার কিছু বেশি।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, সংসদে তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হলো যে কী বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার পেছনে ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, শুরুতে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কেন্দ্রভাড়ার যুক্তি থাকতে পারে। তবে যথেষ্ট বিনিয়োগ হওয়ার পর দায়মুক্তি আইন ও কেন্দ্রভাড়ার শর্ত বাতিল করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকার সেটা করেনি, বরং দায়মুক্তি আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে সরকার ও জনগণ প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুৎ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ উৎপাদন পরিকল্পনা, সে অনুযায়ী সরকারের আর্থিক দায়—এসব বিবেচনায় মনে হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) শ্বেতহস্তীতে পরিণত হতে পারে।

কারা কত ভাড়া পেয়েছে

সংসদে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রভিত্তিক। বিদেশি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ তাদের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া পেয়েছে অন্তত ১৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।

সামিটের পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল। তারা সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া পেয়েছে ৮ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড গ্রুপ। তারা ছয়টি কেন্দ্রের বিপরীতে ভাড়া পেয়েছে ৭ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

চতুর্থ সর্বোচ্চ ভাড়া পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে করা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। তারা পেয়েছে ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর প্রায় দেড় বছর সক্ষমতার বড় অংশকে বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দিতে হয়েছে। কারণ, উৎপাদিত বিদ্যুৎ আনার সঞ্চালন লাইন ছিল না।

রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে পেয়েছে ৭ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এটি আইপিপি হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও প্রতিষ্ঠানটি মূলত সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন।

যে ‘মডেলে’ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে, সেটা ভুল বলে উল্লেখ করেন ম তামিম। তিনি বলেন, যদি জানা থাকে যে শুধু সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানো হবে, তাহলে পুরো সময়ের জন্য সারা বছরের চুক্তি কেন?

বাংলা ট্র্যাক গ্রুপের মালিকানাধীন পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পেয়েছে ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

সামিট ও ইউনাইটেডের যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। সংসদে দেওয়া তালিকায় ডরিন গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে সাতটি। তারা ভাড়া পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

এর বাইরে হরিপুর ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা, হোসাফ গ্রুপ ২ হাজার ৮৬০ কোটি, মোহাম্মদী গ্রুপ ২ হাজার ৮৩৪ কোটি, এনডাব্লিউপিসি ২ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা, ম্যাক্স গ্রুপ ২ হাজার ৩৫১ কোটি, কনফিডেন্স গ্রুপ ২ হাজার ১৮৫ কোটি, সিকদার গ্রুপ ১ হাজার ৮৪৩ কোটি, বারাকা গ্রুপ ১ হাজার ৬৯৩ কোটি, প্যারামাউন্ট-বাংলা ট্র্যাক ১ হাজার ৬৩১ কোটি, সিনহা গ্রুপ ১ হাজার ৪৫৪ কোটি, রিজেন্ট গ্রুপ ১ হাজার ১৭২ কোটি এবং এনার্জি প্যাক ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা ভাড়া পেয়েছে।

এর বাইয়ে রয়েছে আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র। যেমন এনার্জিস পাওয়ার করপোরেশন পেয়েছে ৬৮৫ কোটি টাকা। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পরিবারের। রাজশাহীর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এনামুল হকের নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন পেয়েছে ৬৬২ কোটি টাকা।

কিছু কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো খুব কম সময় চলে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়ে গেছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জির ৩০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তিন বছরে নিয়ে গেছে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রটি বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকত।

সংসদে ১১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এর মধ্যে ১১টি কেন্দ্রের কোনো কেন্দ্র ভাড়া উল্লেখ করা ছিল না।

বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে থাক আর অলস থাক—দুই ক্ষেত্রেই কেন্দ্রভাড়া থাকে। সংসদে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বসিয়ে কেন্দ্রভাড়া কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম

শর্ত কী কী

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রশ্নের জবাবে যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির কিছু শর্তের কথা তুলে ধরেন।

শর্তের মধ্যে রয়েছে বার্ষিক অ্যাভেইলেবিলিটি (প্রাপ্যতা) ৯০ শতাংশ থাকতে হবে। এর কম হলে কেন্দ্রভাড়া কাটা হয়। বার্ষিক ‘ডিপেন্ডেবল ক্যাপাসিটি টেস্ট’ (নির্ভরযোগ্যতার সক্ষমতা পরীক্ষা) সম্পাদন করতে হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার সময় ঝুঁকির নিরাপত্তায় বিমা করতে হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে থাক আর অলস থাক—দুই ক্ষেত্রেই কেন্দ্রভাড়া থাকে। সংসদে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বসিয়ে কেন্দ্রভাড়া কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, খুব কম সময় চালিয়ে সারা বছর ধরে যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা দেখানো মুশকিল।

যে ‘মডেলে’ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে, সেটা ভুল বলে উল্লেখ করেন ম তামিম। তিনি বলেন, যদি জানা থাকে যে শুধু সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানো হবে, তাহলে পুরো সময়ের জন্য সারা বছরের চুক্তি কেন?