অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খন্দকার ও তার সঙ্গে থাকা নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। আজ বিকেলে মিরসরাইয়ের নয়দুযারিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তোলা
অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খন্দকার ও তার সঙ্গে থাকা নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। আজ বিকেলে মিরসরাইয়ের নয়দুযারিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তোলা

মিরসরাই

চায়ের দাওয়াতে গিয়ে ‘অবরুদ্ধ’ বিএনপি নেতা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দলের এক নেতার চায়ের দাওয়াতে গিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার। তাঁকে কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগও উঠেছে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নয়দুয়ারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গোলাম আকবর খন্দকার ওই এলাকায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। মনিরুলের ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম আকবর খন্দকার আসার খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে মনিরুল ও তাঁর ছেলে নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মনিরুলের বাড়িতে আসার বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে গোলাম আকবর খন্দকারের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। নুরুল আমিন ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিরসরাই আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে গোলাম আকবর খন্দকারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপির ওই নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এসে তিনিসহ তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন হাতাহাতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। শুনেছি, গোলাম আকবর খন্দকার মনিরুল ইসলামের বাড়িতে এসে বৈঠক করায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, মনিরুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। তাঁর চায়ের দাওয়াত রক্ষা করতে জেলা-উপজেলার আরও কয়েকজন নেতাসহ তিনি গিয়েছিলেন। তবে মিরসরাই বিএনপির নেতাদের রেষারেষির জেরে সেখানে নুরুল আমিনের পক্ষের কিছু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। অবরুদ্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।