জেদ্দায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন ও সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সৌদি আরব, ৬ অক্টোবর
জেদ্দায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন ও সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সৌদি আরব, ৬ অক্টোবর

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন সৌদি সরকার। গতকাল রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া এ সম্মতির কথা জানান। আজ সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, আগামী হজ মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজে করে দুই-তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তাভাবনা করছে।

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রস্তাবে সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাঁদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে তিনি আশ্বস্ত করেন।  

এ বছর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি এজেন্সিকে অন্তত দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের মতো এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদিমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।