দেশে বর্তমানে ডিজেলের চেয়ে অকটেনের খুচরা বিক্রয়মূল্য লিটারপ্রতি ২১ টাকা বেশি। তবে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণের সময় ডিজেলের দামের চেয়ে প্রতি লিটারে ১০ টাকা বেশি হবে অকটেনের দাম।
প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকায় এমনটাই বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এটি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে পেট্রোল-অকটেনের দাম বেশি রাখা হয়।
এতে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে থাকে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। তবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে ওই নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হবে।