ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

তিন মামলায় ঢাকায় বিএনপির আরও ২৭ জনের সাজা

ঢাকার আদালতে আরও তিন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৭ নেতা-কর্মীর সাজা হয়েছে। এ ছাড়া দুই মামলায় সব আসামি খালাস পেয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই পাঁচটি মামলার রায় হয়।

এ নিয়ে গত সাড়ে চার মাসে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে ৮১ মামলায় ১ হাজার ২৪৯ জনের সাজা হলো। দণ্ডপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী।

আজ যে তিনটি মামলায় সাজা হয়েছে, সেগুলো দায়ের হয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৮ সালে। আর যে দুটি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন, সেগুলো ২০১৩ সালের।

এর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার পার্কের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কে যান চলাচলে বাধা দেন। এ সময় পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশের তিনজন আহত হন। পুলিশ এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

আজ ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলার রায় দেন। রায়ে আটজনের তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান দুজন।

একই আদালতে গুলশান থানার একটি মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপির ১২ জন নেতা-কর্মীর দেড় বছর করে কারাদণ্ড এবং ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পুলিশের করা এই মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের শাহজাদপুরের সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। পরে গাড়ি ভাঙচুর করেন। এই মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

২০১৩ সালে কদমতলী থানায় করা আরেকটি মামলার রায় দেন সিএমএম আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন। রায়ে সাতজনকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

একই আদালত ২০১৩ সালের নভেম্বরে নিউমার্কেট থানায় করা একটি মামলায় ১০ জন আসামির সবাইকে খালাস দেন। একই বছর দায়ের হওয়া রমনা থানার একটি মামলায় ছয় আসামির সবাই খালাস পেয়েছেন। এই মামলার রায় দেন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।