স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান

হতাহতদের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আলোচনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা ও তাঁদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। এ–বিষয়ক বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের কয়েকজন সদস্য অংশ নেন। তাঁরা সেখানে বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্য তুলে ধরেন।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক হয়। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান, নাহিদা বুশরা, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ ও নাহিদা সরোয়ার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়। সরকারের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কালক্ষেপণ নিয়ে আলোকপাত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয় এবং এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, অনলাইন ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে তথ্য নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করার জন্য দুই ধাপে ভেরিফিকেশনের (যাচাই) প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সমন্বয়ক পরিচয়ে সব ধরনের জালিয়াতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুধু কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের প্রকাশিত সদস্য বা তাঁদের প্রতিনিধিদলের হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের অনুমতি ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সরকার শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্দশা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজবে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রকাশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। যেকোনো ধরনের অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান থাকবে উল্লেখ করে দেশের সংস্কারের মতো স্বাস্থ্য খাতেও শিগগিরই সংস্কার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।