ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এই কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানোর সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি প্রজ্ঞাপনে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে মোস্তফা ফারুককে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
সরকারি চাকরি আইনের এই ধারায় বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনোরূপ কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে। তবে যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।’
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৬ সালের জুনে মোস্তফা ফারুক ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ভাতা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এই প্রশিক্ষণের কাজ করে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। ওই সময় এই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন মোস্তফা ফারুক। তখন প্রশিক্ষক হিসেবে ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স উপদেষ্টা’সহ কয়েকটি পদ তৈরি করে সারা দেশে তিন কোটি টাকার বেশি সম্মানী ভাতা দেয় ইসি।
এ ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। পরে এটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল অডিট অধিদপ্তর। তারা বলেছিল, নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য কোর্স উপদেষ্টা, বিশেষ বক্তাসহ ইসির তৈরি করা কয়েকটি পদ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নয়। ওই ভাতা প্রদানের ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।