আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার দুপুর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত) গ্রেপ্তার করা হয় ২২২ জনকে।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা ১৭ জুলাই থেকে দেশের মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্র থেকে মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য সংগ্রহ করছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সহিংসতার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫৭ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে তাঁরা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ নিয়ে রাজধানীতে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৭।
রাজধানীতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, এ বিষয়ে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কোনো তথ্য দেয়নি। তবে আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার দায়ে করা ৩৫টি মামলায় গতকাল ঢাকার আদালতে ৫৭ জনকে হাজির করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে তাঁরা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ নিয়ে রাজধানীতে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৭। এ পর্যন্ত মোট ২৭২টি মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর বাইরে ঢাকা জেলার ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২৬টি। গতকাল ৮ জনসহ এসব থানার অধীনে গ্রেপ্তার হন ২৮৭ জন।
গাজীপুরে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন ও নারায়ণগঞ্জে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত গাজীপুরে মোট ৫১০ জন ও নারায়ণগঞ্জে ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরে গত বুধবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগর ও জেলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯৮৯। চট্টগ্রাম নগর ও জেলার মোট ৩৪ মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৮ হাজার ২০০।
এর বাইরে ঢাকা জেলার ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২৬টি। গতকাল ৮ জনসহ এসব থানার অধীনে গ্রেপ্তার হন ২৮৭ জন।