খালাসের আগেই বন্দর চত্বরে এক কনটেইনারে আনা এই মদ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গতকাল রাতে বন্দর চত্বরে
খালাসের আগেই বন্দর চত্বরে এক কনটেইনারে আনা এই মদ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গতকাল রাতে বন্দর চত্বরে

বন্ধ কারখানার নামে কনটেইনারে এল মদ

এক বছরের বেশি সময় ধরে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। এমন কারখানার নামে আমদানি হয়েছে বিদেশি মদের চালান। খালাসের আগেই বন্দর চত্বরে এক কনটেইনারে আনা এই মদ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আজ বৃহস্পতিবার মদের চালান জব্দ করার বিষয়টি প্রকাশ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

প্রায় ৯ মাস আগে কাপড়ের চালানের নামে মদের চালান আমদানি হলেও খালাস না হওয়ায় সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। এরপর সন্দেহ থেকে বুধবার দিবাগত রাতে কনটেইনার খোলা হয়। রাতভর কনটেইনারে থাকা কার্টন খুলে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদের বোতল জব্দ করা হয়।

আজ বন্দর চত্বরে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চীন থেকে কাপড় আমদানির নামে মদের চালানটি আনা হয়েছে। কনটেইনারে থাকা মদের শুল্কায়ন মূল্য দুই কোটি টাকা। মদ আমদানিতে শুল্কহার ৬১১ দশমিক ২০ শতাংশ। এ হিসাবে জব্দ চালানে শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হয় ১২ কোটি টাকার।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এ কে এম খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় চালানটি নিয়ে সন্দেহ হয়। এরপরই চালানটি খুলে সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রাথমিক নথি অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে মদের চালানটি আনা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে কারখানাটির একজন প্রতিনিধি কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, কারখানাটি এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এই চালানটিও তাঁদের নয়।