ক্ষুধা পেটে ক্লাসে আসা শিক্ষার্থীদের কী হবে

এখন মঙ্গা নয়, বলা হচ্ছে মৌসুমি দারিদ্র্য বা মৌসুমি ক্ষুধা। এখনো উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ ঠিকমতো খেতে পায় না।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিড ডে মিল পরিবেশন করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও দেশের উত্তর জনপদে, বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুরজুড়ে আশ্বিন–কার্তিকে (অক্টোবর–নভেম্বর) দরিদ্র মানুষের অভাবের কথা শোনা যেত। উত্তরের আকালের খবর তখন গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হতো। পত্রিকার পাতা ঠাসা থাকত পীড়িত মানুষের নানা দুর্দশার প্রতিবেদন আর ছবিতে। উত্তরের এই অভাব পরিচিত ছিল ‘মঙ্গা’ নামে। এই সময়টাকে ‘মরা কার্তিক’ নামেও ডাকা হতো।

সরকারের নানা উদ্যোগ, দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরলস প্রচেষ্টা আর সাধারণ মানুষের অব্যাহত শ্রমে উত্তরাঞ্চলের ‘মঙ্গা’র তেজ এখন অনেকটাই প্রশমিত। অনেকে বলেন, উত্তর জনপদের মঙ্গা এখন ইতিহাস। কেউ বলেন জাদুঘরে। তবে এখনো যেন জীবনানন্দ দাশকে শোনা যায় মরা কার্তিকের দিনগুলোতে—‘আমরা যাইনি ম’রে আজো—তবুও কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়:/ মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে’। এখনো উত্তরের জনপদে চোখ মেলে তাকালে আকাল নজরে পড়ে। মনে হয়, মঙ্গা যেন আটকে আছে কার্তিকের খামে।

২০০৭ সালের দিকে মঙ্গার দিনক্ষণ খুঁজতে উত্তরের খানাখন্দে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িগ্রামের রৌমারী পৌঁছালে আট–নয় বছরের এক বালিকা বলেছিল, আশ্বিন বা কার্তিক মাস বলে কী হবে? ঘরে খাবার না থাকলেই তো মঙ্গা? আসলে মঙ্গার আশ্বিন–কার্তিক নেই। সে বর্ষায়, শীতে, শরতে, ফাগুনে, কোভিডে, করোনায়, ডেঙ্গুতে, ম্যালেরিয়ায়—যেকোনো সময় যেকোনো অজুহাতে মানুষের জীবনে ভর করতে পারে।

আশ্বিন–কার্তিকের আগেই অভাব

তবে উত্তরের এই মঙ্গাকে এখন আর মঙ্গা বলা যাচ্ছে না, যেমন বলা হচ্ছে না মামা–চাচা–ফুফা–খালু—এরা সবাই এখন আঙ্কেল। গবেষকেরা এখন মঙ্গাকে বলছেন মৌসুমি দারিদ্র্য। কেউ বলছেন মৌসুমি ক্ষুধা। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত একটি উপজেলার কর্মরত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে মারাত্মক মৌসুমি ক্ষুধার সন্ধান পেয়ে বেশ বিচলিত হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাসে একটি মেয়ের দিকে চোখ পড়ল। দেখছিলাম, মেয়েটি খুব ক্লান্ত, চোখগুলো ছোট ছোট, দেহ ক্ষীণকায়। শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছেন, আমিও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। কিন্তু মেয়েটির খুব বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করা গেল না। দেখে মনে হলো, মেয়েটি প্রায় ঝিমোচ্ছে। তার শরীরে কোনো শক্তি আছে বলে মনে হচ্ছিল না।’

কাছে গিয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি সকালে কি খেয়ে এসেছ?’ (যদিও সবার সামনে এমন প্রশ্ন নির্যাতনমূলক)।

মেয়েটি বলল, ‘পানি খেয়ে এসেছি।’

আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাত খাওনি কেন?’

মেয়েটি বলল, ‘আমাদের বাড়িতে শুধু বিকেলে ভাত রান্না হয়। সেটি সন্ধ্যায় আমরা খাই।’

ইউএনওর কথা থেকে জানা গেল, মেয়েটির বাবা মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালান। যেদিন মাছ ধরা হয় না, সেদিন তাদের খাবার জোটে না।

ইউএনও আরও লিখেছিলেন, ‘খুব খারাপ লাগল। ভাবছিলাম, শিশুটি না খেয়ে কীভাবে দুপুর পর্যন্ত ক্লাস করছে।’

ওই মেয়েটির ক্ষুধার কথা শুনে ইউএনও কি খুব অবাক হয়েছেন? সেটি কি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা! নিতান্তই একটি বাড়ির হঠাৎ একদিনের ঘটনা! এমপি–মন্ত্রীরা যখন সারা বছর শিম, সারা বছর মুলা, সারা বছর কপি, সারা বছর গাজর খাওয়ার বয়ান দেন, তখন দিনে মাত্র এক বেলা খাবার জোটানো কঠিন হয়ে পড়ে অনেকের। এটিই এখন বাস্তবতা।

ইউএনও না খেয়ে স্কুলে আসা ওই মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এমন ক্ষুধার্ত আরও যেসব শিশুকে তিনি প্রশ্ন করার সুযোগ পাননি, যেসব শিশু ক্ষুধার অন্ন খুঁজতে গিয়ে স্কুলের পথটা ভুলে গেছে, তাদের কী হবে?

২৫ শতাংশ মানুষ ঠিকমতো খেতে পায় না

চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ‘সিজনাল পভার্টি, ক্রেডিট অ্যান্ড রেমিট্যান্স’ (মৌসুমি দারিদ্র্য, ঋণ ও প্রবাসী আয়) শীর্ষক এক আলোচনা সভার ব্যবস্থা করেছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক তাঁর গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেছিলেন। তিনি তাঁর গবেষণায় তুলে এনেছিলেন, নানা কারণে মৌসুমি দারিদ্র্য বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। গবেষণায় মাঠপর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ ঠিকমতো খেতে পায় না। যারা তিন বেলা খেতে পায়, তাদেরও খাবারের পরিমাণ কম। প্রোটিন পায় না, খাদ্যনিরাপত্তা থাকে না। তারা সব সময় খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকে।

অধ্যাপক মুশফিক উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা—গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। তবে তাঁর গবেষণায় যে চিত্র উঠে এসেছে, অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও তা কমবেশি প্রযোজ্য। অধ্যাপক মুশফিকের মতে, যে ২৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত খেতে পায় না, তারাই মৌসুমি দরিদ্র। তবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই তিন মাস ভূমিহীন মানুষের ৫০ শতাংশ খেতে পায় না।

ইউএনও তাঁর উপজেলায় সেপ্টেম্বরের আগেই খেতে না পাওয়া পরিবারের সন্ধান পেয়েছেন। বলা বাহুল্য, দিন দিন এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এমনিতে এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। সারা দেশে অর্থনৈতিক সংকট মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ফলে এই সংকটের বছরে কার্তিক আসতে আসতে উপোস শিশু আর তাদের পরিবারের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, কে জানে?

নেপাল থেকে শিক্ষা

মৌসুমি ক্ষুধা যে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা, তা নয়। দক্ষিণ আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে, বিশেষ করে নেপাল, ভারত আর ইন্দোনেশিয়ায়ও এমন দারিদ্র্য আছে। এমন মৌসুমি দারিদ্র্য আছে। ২০১৯ সালে নেপালের তরাই অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, সেখানে ক্ষুধার মৌসুম শুরুর আগে মৌসুমি দরিদ্রদের ১০ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়। এই টাকা নিয়ে নেপালের মৌসুমি দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী কাজের জন্য ভারতে যান এবং বেশ ভালো অঙ্কের টাকা আয় করে তাঁরা দেশে ফেরেন। ভারতে গিয়ে কাজ করতে নেপালের মানুষের ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) লাগে না। তাই সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেওয়া এই ঋণকে পুঁজি করে কাজ খুঁজে নিতে তাঁদের বেগ পেতে হয় না।

বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলের ক্ষুধাপীড়িত অঞ্চল থেকে অনেকেই আকালের মৌসুমে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন নগরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখানে সুদমুক্ত ঋণের কোনো সুবিধা নেই। তাই দাদনের চড়া সুদে টাকা ধার করে তাঁদের খরচ জোগাড় করতে হয়। ফলে তাঁদের কাজের পরিবেশ আর মজুরি নিয়ে দর-কষাকষির দম থাকে না। অন্যায্য মজুরিতেই তাঁদের রাজি হতে হয়। আয়ের সিংহভাগই চলে যায় দাদনের সুদসহ মূল অর্থ ফেরত দিতে।

ইন্দোনেশিয়ায় এমন ক্ষুধাপীড়িত অঞ্চলের দরিদ্র্য মানুষকে দারিদ্র্যের মৌসুমে কাজের সন্ধানে দেশের অন্য এলাকায় যাতায়াতের জন্য সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়। তাঁদের এই অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ঋণ ভালোই কাজ করছে। আমাদের ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

ক্ষুধা পেটে ক্লাসে ঝিমোতে থাকা শিশুদের কী হবে

ভারত ১৯৯৫ সাল থেকে ধাপে ধাপে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার বা মিড ডে মিল চালু করেছে। ভারত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, মিড ডে মিল চালুর উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি আর ধরে রাখাকে টেকসই করা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো।

বাংলাদেশেও ভারতের আদলে একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কথা ছিল। করোনার আগে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালুর লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সে সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেছিলেন, ‘স্কুলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে আমরা মিড ডে মিল চালু করেছি। এ পর্যন্ত ১০৪টি উপজেলার সব স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১৬টি উপজেলায় টিফিন দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ঝরে পড়ার হারও কমে আসছে।’

সে সময় পরিকল্পনা ছিল, ২০২৩ সালের মধ্যেই সব বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হবে। ঝরে পড়ার হার কমাতে নির্বাচিত উপজেলায় চালু করা মিড ডে মিলের (স্কুলে খিচুড়ি রান্না ও বিতরণ) অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে সমন্বিত প্রক্রিয়ায় সারা দেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা যায়, সেই লক্ষ্যে নীতিমালাটি করা হয়েছিল।

‘জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের পরিকল্পনা ছিল। গৃহীত নীতিমালার আলোকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে একটি সেল বা ইউনিট গঠন এবং কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণে প্রয়োজনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পৃথক জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ (ন্যাশনাল স্কুল মিল অথরিটি) গঠনের দিকনির্দেশনা ছিল। প্রকল্পের আওতায় খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের প্রশিক্ষণ নিতে এক হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ সফরের একটি প্রস্তাব ছিল, যা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। ফলে খাতটি বাদ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টিই এখন বাদ পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। গত বছরের জুনে একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি তোলা হলে রান্না করা খাবার না দিয়ে রান্না ছাড়া খাবারের পক্ষে বেশির ভাগ উপস্থিত সদস্য মতামত দেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুধ, ডিম, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার বিতরণ করা হবে, নাকি টিফিন বাটি কিনে দিয়ে মায়েদের বলা হবে, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর সময় বাটি ভরে খাবার দিতে? এসব বিষয় নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাবছে। কিন্তু যেসব ঘরে খাবার নেই, দিনে একবার রান্না হয়, তাদের কী হবে?

করোনার সময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের বদলে বিস্কুট বিতরণের আওতায় রেখে যেটুকু খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছিল, এখন সেটিও বন্ধ। মাঠপর্যায় থেকে জানা গেছে, চলতি বছর শুধু একবার (জুন) বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছিল। কবে আবার চালান আসবে, তা কেউ জানে না।

মানুষের ক্ষুধা আছে, দারিদ্র্য আছে। অর্থনৈতিক সংকটের এই বছরে সেটি দিন দিন বাড়ছে। বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে গিয়ে কৃষক দেখেন, ডিজেলের দামে আগুন। তাই পেটের আগুনের সঙ্গে তাঁর আর তাঁর শিশুদের আপস করতে হচ্ছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে হলে, মৌসুমি ক্ষুধার জেলা–উপজেলাগুলোতে অন্তত আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন দিনে একবার অন্তত পেট ভরে খেতে পারে, হাসতে পারে—স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই বিনিয়োগটা বড়ই জরুরি।

গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক

nayeem5508@gmail.com