যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেই কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৩ দিনেও রিমান্ডে পায়নি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আদালত ২ নভেম্বর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরের রূপ ধারণ ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করার অভিযোগে পল্টন থানার এক মামলায় গত ২৯ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। তিনি কারাগারে রয়েছেন।
ওই মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির একটি সূত্র বলছে, উচ্চপর্যায়ের একটি মহল থেকে অনুমতি না পাওয়ায় মিয়া আরেফিকে রিমান্ডে আনা যায়নি। আর চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, মামলাটির তদন্ত থেমে আছে। মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ডিবির মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তারা।
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে ও মিয়া আরেফিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র উপকমিশনার ফারুক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে ডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের কারণে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরপর মিয়া আরেফি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সেখানে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। পরদিন বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে আটক করে পুলিশ। ওই দিনই ‘মিথ্যা পরিচয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ অভিযোগে মিয়া আরেফি, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি।
মামলার বাদী মহিউদ্দিন শিকদার আজ প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার পর মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, তিনি জানেন না। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে ছিলেন। তাই মামলার অগ্রগতির বিষয়টি খোঁজ নিতে পারেননি।