সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর এই ছবি গত ১৫ মার্চ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। গতকাল জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর এই ছবি গত ১৫ মার্চ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। গতকাল জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা

৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দেওয়ার পর বাংলাদেশি জাহাজ ছাড়া হয়েছে, বলেছে জলদস্যুরা

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে। দুজন জলদস্যু এ তথ্য জানিয়েছেন।

জলদস্যুদের একজন আবদিরশিদ ইউসুফ বলেছেন, ‘দুই রাত আগেই আমাদের কাছে ডলার আনা হয়...। আমরা যাচাই করে দেখেছি, ডলারগুলো আসল না জাল। তারপর আমরা ডলারগুলো কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে জাহাজ ত্যাগ করি।’  

সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান আবদিরশিদ ইউসুফ।

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে জাহাজে নাবিকেরা

এ বিষয়ে জানতে সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সাড়া দেননি।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করে দস্যুরা। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়েছিল। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপর শুরু হয় দর-কষাকষি। গতকাল ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে ছেড়েছে জলদস্যুরা। মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে সোমালিয়ার রাজধানী থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা তাদের দেশের দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। এরপর কয়েক বছর চুপ থেকে গত বছরের শেষ দিক থেকে আবার তারা দস্যুতা শুরু করেছে।