চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শ্রেণি কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে হলে আসন বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৭ আগস্ট এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ সভায় ১৮ আগস্ট আবাসিক হল ও ১৯ আগস্ট শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হলের আসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ আর ১৭ আগস্ট হলের আসন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হল বরাদ্দের এই প্রক্রিয়া স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব ছাড়েন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের, সহ–উপাচার্য বেনু কুমার দে ও মো. সেকান্দর চৌধুরীসহ ১৪টি হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রছাত্রী নির্দেশনাকেন্দ্রের পরিচালক।
এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম স্থবির হয়ে আছে। তালা ঝুলছে পরিবহন দপ্তরেও। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নথি অনুসারে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৩০। এসব শিক্ষার্থীর থাকার জন্য হল রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে চালু আছে ১২টি।
চালু থাকা হলের মধ্যে ছাত্রদের সাতটি আর বাকি পাঁচটি ছাত্রীদের। ছাত্রীদের হলে আসন বরাদ্দপ্রক্রিয়া চলমান। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার মুখেই ছাত্রীদের একটি অংশ হলে অবস্থান করছে।
নিয়ম মেনে ছাত্রদের হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয়। তখন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এ ছাড়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর আবেদন করেন ১ হাজার ৬০ শিক্ষার্থী। আবেদন করলেও শিক্ষার্থীরা বৈধভাবে হলে উঠতে পারেননি।