মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী মো. নূর খান। বিশ্বের ১০টি দেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১০ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা ও একে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহসের সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া; নিজ দেশের সরকার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও তা সামনে আনা এবং তা প্রতিরোধে কাজ করা; পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া; শাসনব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করা; জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসানে কাজ করার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মো. নূর খান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন ব্রাজিলের এলাইজে ডি সুজা ফারিয়াস, কম্বোডিয়ার চিম সিথার, জর্জিয়ার নিনো লোমজারিয়া ও তাঁর দল, হন্ডুরাসের রোসা মেলানিয়া রেয়েস ভেলাকুয়েজ, ইরানের নাসরিন সোতৌদে, ইরাকের আইনজীবী বাশদার হাসান এবং তাঁর নেতৃত্বে কাজ করা কয়েকজন আইনজীবী, মৌরিতানিয়ার মোহামেদ এলি এল হের, চীনের ডিং জিয়াক্সি এবং টোগোর একু ডেভিড জোসেফ দোসেহ।
মো. নূর খানকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিগত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের সুপরিচিত দুটি মানবাধিকার সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন নূর খান। একই সঙ্গে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিবদ্ধ করা এবং জবাবদিহির সংস্কৃতি এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নূর খান। তাঁর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, তাঁর সময়োচিত পদক্ষেপ, গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষে কথা বলা এবং দেশের সুশীল সমাজের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং নির্দোষ অনেককে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে।