কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবির
কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবির

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, আরসার দুই কমান্ডার নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে উখিয়ার তানজিমারঘোনা (ক্যাম্প-২০) আশ্রয়শিবিরের এম-২৫ ব্লকের মারকাজ মসজিদ–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিরা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ক্যাম্প কমান্ডার বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা।

প্রথম আলোকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল। আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন-আরএসওর সঙ্গে সংঘর্ষে ওই দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহত দুজন হলেন, উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৭) ও মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের গনি মিয়ার ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, একই আশ্রয়শিবিরে হামিদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩১)। তাঁকে আশ্রয়শিবিরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, আরসার সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আরএসওর সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হতাহতের ঘটনাও বাড়ছে। তাতে সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে আশ্রয়শিবিরের মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আরসার ক্যাম্প কমান্ডার ইমাম হোসেন ও রহমত উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পাশের ১৮ নম্বর আশ্রয়শিবির থেকে আরএসওর ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়তে থাকেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলে ইমাম হোসেন ও রহমত উল্লাহর মৃত্যু হয়। নিহত দুজন আরসার কমান্ডার। দুজনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, নিহত দুই রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।