ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই দুই ছাত্রলীগ নেতা দেশ ছাড়তে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তাঁদের সেখানে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে। ওই দিন শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় হামলা হয়। ছাত্রীদেরও মারধর করা হয়। হামলার সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার তাঁর সরকারের পতন ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আলোচনা চলছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নেতাদের মারধর, হত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পেরেছেন। এর মধ্যে বিমানবন্দরে আজ সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে আটকে দেওয়ার খবর আসে। এরপর এল ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটকে দেওয়ার খবর।