অনুদান, সুদবিহীন ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার দিতে রাজি হয়েছে চীন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ কথা জানান। বাংলাদেশে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, খুব শিগগির শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের পর চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে বাড়তি সহায়তা চেয়েছিল। আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর বাংলাদেশকে এ সহায়তা দিতে যাচ্ছি। সময়ের অভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করা যায়নি।’
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সহায়তা দুই দেশের সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন জোরদার করবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চীনের বিনিয়োগের কারণে স্থিতিশীলতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলি না। এখানে যা ঘটেছে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রাণহানি আর সহিংসতার ঘটনা দুঃখজনক। আমাদের অবস্থান এখানে স্পষ্ট। চীন বিশ্বাস করে, এ দেশের জনগণ ও সরকারের সমস্যা সমাধানের সামর্থ্য ও প্রজ্ঞা রয়েছে। আমরা আশা করি, খুব শিগগির শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। এখনই সময় চীন থেকে বাংলাদেশে বেশি সহযোগিতা ও বিনিয়োগ আসার। চীন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। চীন দেখতে চায়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত চীন সফরের ওপর আলোকপাত করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের সঙ্গে সমন্বিত অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ, ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন, সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান এবং চট্টগ্রামে আরেকটি রোড-টানেল তৈরিতে চীনকে আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার বিষয় উত্থাপন করলে চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।