সুইডেনে উগ্র-ডানপন্থী এক ব্যক্তি কর্তৃক পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে ‘ইসলামবিদ্বেষী ও ঘৃণিত’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস। শুক্রবার রাত আটটার দিকে অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করা এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।
বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টটি দেওয়া হয়। বাংলায় দেওয়া পোস্টটিতে লেখা হয়, ‘ইসলামবিদ্বেষী যে ঘৃণিত কাজ একজন উগ্র-ডানপন্থী কর্তৃক সুইডেনে সংঘটিত হয়েছে, তা সুইডিশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এই কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সুইডিশ সরকারের মতামতকে প্রতিফলিত করে না।’
কয়েক দিন আগে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ান রাসমুস পালুদান নামের ওই ব্যক্তি। পালুদান ডেনমার্কের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা।
এর আগে গত বছর এপ্রিলে পালুদান ঘোষণা দেন মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পবিত্র কোরআন পোড়াবেন। তাঁর এ ঘোষণায় সুইডেনজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া সৌদি আরব, জর্ডান ও কুয়েতের মতো আরও কয়েকটি আরব দেশ সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোবিয়াস বিলস্ত্রম ইসলামবিদ্বেষী ও উসকানিমূলক এ ঘটনাকে ‘সাংঘাতিক ও ভয়ংকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘সুইডেনে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এ ঘটনাকে আমি অথবা সুইডেনের সরকার সমর্থন দেবে।’