রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ‘সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন’ অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মারাও গেছেন দুই চাকার এই বাহনের চালক ও আরোহীরা। এর সংখ্যা ২০১; যা মোট মৃত্যুর ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় গত মাসে মোট ৫১২ জন মারা গেছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন তৈরি করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিসেম্বরের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের তথ্য জানায় সংস্থাটি।
নিহতের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে তিন চাকার যানবাহনের চালক ও আরোহীদের। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক-অটো ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো যানবাহনের দুর্ঘটনায় ১০১ জন নিহত হয়েছেন; যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এ ছাড়া বাসযাত্রী ৯ জন; ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, ড্রাম ট্রাক, রোলার মেশিন গাড়ি আরোহী ২৬ জন; প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পাজেরো জিপ আরোহী ১৫ জন; নছিমন, ভটভটি, চান্দের গাড়ি, টমটম, মাহিন্দ্রা, পাখি ভ্যান, টাফি গাড়ির ৩০ জন; বাইসাইকেল, প্যাডল রিকশা, রিকশা ভ্যান আরোহী ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৬৪ শিশু ও ৫৯ নারী। পথচারী মারা গেছেন ১১৪ জন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৭৯৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৮টি, অর্থাৎ ৪৬ শতাংশই হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। আর ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৭৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৭টি শহরের সড়কে এবং ৩টি অন্যান্য স্থানে হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ২৩৭টি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এর বাইরে ১১৬টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১১টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৪২টি পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
সংস্থাটি নৌ ও রেলপথ দুর্ঘটনার তথ্যও প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী গত মাসে নৌপথে ৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন ব্যক্তি। একই সময়ে ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন।