নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবিরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ এনে আজ রোববার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভও করেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে শতাধিক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এরপর প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়াকে অস্ত্রের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। পরে প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর খিলপাড়া এলাকায় ছেড়ে দেন। বহিরাগত এসব ব্যক্তি বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও পিটিয়ে আহত করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত বুধবার প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র নেওয়ার সময় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় তারা পরীক্ষা বর্জন করে। পরে দুই দিন একইভাবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে তারা।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি চাটখিলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আজ রোববার সন্ধ্যায় থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র আদায় করে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।