কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। দেশ ও মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের প্রয়োজন মেটাতে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে সংস্থাটি। শিগগিরই খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থায়ও কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে সংস্থাটির।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে উপস্থিতির ৭৫ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কেয়ার বাংলাদেশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাশ বলেন, ‘গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শতাধিক দেশে কাজ করার ইতিহাস নিয়ে কেয়ার এ বছর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে উপস্থিতির ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে এই সুদীর্ঘ মাইলফলক ছোঁয়ার এই মাহেন্দ্রক্ষণটি আমরা উদ্যাপন করছি।’
রাম দাশ বলেন, কেয়ার সব সময় চেষ্টা করেছে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে। আর এ জন্যই পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব সময় এই সংস্থা তার কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। এখানেই অন্যদের কাছ থেকে কেয়ার আলাদা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেয়ার বাংলাদেশ বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নারী ও যুব ক্ষমতায়নসহ নানা খাতে কাজ করছে। শিগগিরই খাদ্য ও কৃষিব্যবস্থায়ও কাজ শুরু করার লক্ষ্য রয়েছে সংস্থাটির। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের দেশভিত্তিক কর্মকৌশল পরিকল্পনায় (কান্ট্রি প্রোগ্রাম স্ট্র্যাটেজি) মূলত চারটি প্রভাবক নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো লৈঙ্গিক সমতা, স্থানীয় নেতৃত্ব, বাজারভিত্তিক কর্মসূচি এবং সহনশীলতা উন্নীতকরণ। এগুলোর মাধ্যমে কেয়ার বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষ, বিশেষ করে নারীর নেতৃত্ব এবং সহনশীল (রেজিলিয়েন্ট) জীবন নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন কেয়ারের পরিচালক (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপস, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন) টনি মাইকেল গোমেজ।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেয়ারের পরিচালক মেহেরুল ইসলাম, রওনক জাহান প্রমুখ।
কেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ১৯৪৯ সালে কাজ শুরু করে কেয়ার বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালে কেয়ার ৬৯১টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের ৬৮টি দেশে কাজ করেছে এবং ২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালে ৪৮টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে কেয়ার। যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ ছিল নারী।