কুপিয়ে হত্যা
কুপিয়ে হত্যা

দাওয়াত থেকে ফিরছিলেন যুবদল নেতা, পথে কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বেলাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজমারা ইউনিয়নের কাদেরিয়া ঘাটে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।

পূর্ববিরোধের জেরে ওই হামলা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। কে বা কারা ওই হামলার ঘটনায় জড়িত, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজমারা ইউনিয়নের নিমতলী এলাকা থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে নিজ এলাকায় ফিরছিলেন যুবদল নেতা বেলাল উদ্দিন ও তাঁর সহযোগী আফছার উদ্দিন। তাঁদের মোটরসাইকেলটি কাদেরিয়া ঘাট এলাকায় এলে পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে বেলালের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা বেলালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যুবদল নেতা বেলাল উদ্দিনকে হত্যা করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাতিয়া আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে ফোন করা হলে তাঁরা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতা–কর্মী এলাকাছাড়া। তাঁরা কেউই এই হামলার ঘটনায় জড়িত নন। স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশ জানায়, নিহত বেলাল জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিরবিরি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত বেলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বুধবার নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি বেলাল উদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কে বা কারা কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।