চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় আগামী জুনে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় বন্দর সম্প্রসারণের তিনটি প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি। প্রকল্প তিনটি হলো বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প।
মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন করেছেন। এর অর্থ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন হবে। এই প্রকল্পের আওতায় জাহাজ চলাচলের পথ বা চ্যানেল তৈরি এবং স্রোত প্রতিরোধক বা ব্রেক ওয়াটার তৈরিতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে।
বে টার্মিনালে তিনটি আলাদা টার্মিনাল হবে। একটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে বন্দর। বাকি দুটি পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ড সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আগামী জুনে চুক্তি করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক শিপিং–বিষয়ক সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্টের তালিকা অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর ছিল পিএসএ সিঙ্গাপুর। আর আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের অবস্থান ছিল পাঁচে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালে নির্মাণকাজ শুরু হবে ফেব্রুয়ারি বা মার্চের মধ্যে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী চালু হবে।
বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয় ৬ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চান সাংবাদিকেরা।
এ সময় বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, চুক্তির চার মাসের মধ্যে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানটির টার্মিনাল চালুর কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরব থেকে যন্ত্রপাতি এনে টার্মিনালটি চালু করবে। তবে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো–নামানোর আধুনিক ক্রেন সংযোজন হতে সময় লাগবে। অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে টার্মিনালটি চালু হতে দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে।