বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পর সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার।
শামসুজ্জামানকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার বেশি পর গতকাল বুধবার রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এ মামলার প্রধান আসামি। সেই মামলাতেই শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে আনা হয়েছে।
এর আগে গতকাল ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের সিআইডির সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তাঁরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে। প্রথমটি তেজগাঁও থানায়, দ্বিতীয়টি রমনা থানায়।
২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।
এই ঘটনার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি। থানায় নথিভুক্ত হওয়া এজাহার অনুযায়ী গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে মামলাটি হয়েছে। বাদীর পরিচয় লেখা হয়েছে, তিনি ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা। তাঁর ফেসবুক পেজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।