মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
২০০৪ সালের পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনের ৩১(১) ও (২) ধারা প্রতিপালন না করে ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগের গত ২১ আগস্টের মেমো (আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্থসচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ‘নগদ’-এর স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী কারিশমা জাহান ও মো. জামিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাথিকা হোসেন।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের দুটি বিষয় প্রতিপালন করা হয়নি। বিধান অনুসারে, জনস্বার্থে প্রশাসক নিয়োগ প্রয়োজন, এই সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে। যে আদেশ দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে এ ধরনের সন্তুষ্টির বিষয়টি ছিল না। আইনে আছে প্রশাসক নিয়োগ করার আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নগদকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।