বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করেছে। ঝড়টিকে কেন্দ্র করে বিশাল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় তা আজ রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ঝরাতে শুরু করবে। আগামী দুই দিন উপকূলসহ সারা দেশে ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দেশের তিনটি বন্দর ও উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতের জায়গায় ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বুলেটিনে এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৩০ এবং পায়রা ও মোংলা বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। দমকা হাওয়ার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। নৌযান ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি কিছুক্ষণ আগে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বিপুল পরিমাণে মেঘমালা তৈরি হয়েছে। যার অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফলে আজ রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আগামী বুধবারের (২৫ অক্টোবর) মধ্যে তা বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি আসতে পারে। এর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে।
জাপানভিত্তিক সংস্থা জয়েন টাইফুন সেন্টার এবং ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কী পরিমাণে শক্তি নিয়ে আসবে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি সংস্থা দুটি। তবে সংস্থা দুটির ভূ-উপগ্রহের আলোকচিত্র অনুযায়ী ঝড়টির আশপাশে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ ভারতীয় উপকূল থেকে আরও দূরে সরে গিয়ে ইয়েমেন ও ওমান উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তা ওই দুটি দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে খুব বেশি পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।