জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের কোনো আবাসিক হল নেই। সব শিক্ষার্থীকে থাকতে হয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র হল-১–এ প্রভোস্ট নিয়োগের কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার গিয়াস উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হল-১–এর প্রভোস্ট হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদীকে সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ ১১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুকে এ বিজ্ঞপ্তির পোস্টের নিচে এরই মধ্যে ৯৬ জন মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মধ্যে মাহবুব হাছান নামের একজন লিখেছেন, ‘হলের ঠিকানাটা দিয়েন, একটু দূর থেকেই দেখমু ভাই, কাছে যাইতাম না কসম।’ আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘হল না থাকা সত্ত্বেও হল প্রভোস্ট যদি ভাতা পান তবে শিক্ষার্থীরা কেন ভাতা পাবে না? জবি প্রশাসন জবাব চাই!’ শিক্ষার্থী শাকিল হাওলাদার মন্তব্য করেছেন, ‘পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য।’ রুহুল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘ছাত্র হল আবার কোথায়?’ কাওসার খান নামের একজন মজা করে লিখেছেন, ‘প্রশাসন একটি বিসিএস প্রশ্ন আউট করে দিল, অনেক উপকার হলো।’ নূর হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টা হলের কয়টা উদ্ধার হয়েছে? লোকেশন কোথায় কোথায় আজকের বাচ্চাদের সেটা জানা দরকার।’ সুহানা চৌধুরী নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘স্বপ্নের মধ্যে হল বানিয়েছেন আমাদের ভিসি স্যার।’
এ নিয়োগ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমিন বলেন, ছাত্রদের আবাসিক হল না থাকলেও, অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী বেদখলে থাকা হল উদ্ধার, বাসাভাড়া নেওয়া এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে হল নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ তদারকির জন্য তাঁকে (প্রভোস্ট) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।