তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা আরও সাত বছর বাড়ানোর দাবি করেছে এই খাতের শীর্ষ পাঁচ সংগঠন। তারা বলছে, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন। না হলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। তাই এর মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রযুক্তি সংগঠনের নেতারা বলেন, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় দেড় বিলিয়ন (১৫০ কোটি) ডলার। ২০২৯ সাল নাগাদ এ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির আশা করছে সরকার। এ জন্য ২০৩১ সাল পর্যন্ত এ খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১০ মার্চ এই পাঁচ সংগঠন কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে চিঠি দিয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসলে টি আহমদে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবেমাত্র দাঁড়াতে শুরু করছে। এই সময়ে অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে এই খাতে কর অব্যাহতি গুরুত্বপূর্ণ।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলনে, তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে সরকার অর্থ না পেলেও এ খাত বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। যাঁরা আয়কর দিয়ে আসছেন। এ খাতে কর অব্যাহতি না থাকলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।