মাংস কিনতে রাজধানীর আজিমপুরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের ফটকের সামনে সকাল ছয়টায় এসেছেন ফিরোজা বেগম। আজিমপুরের রসুলবাগ এলাকা থেকে এসেছেন তিনি। তবে এসব পণ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানটি এসেছে দুপুর ১২টার দিকে।
সকাল থেকে ৬০ জনের বেশি মানুষ ফিরোজা বেগমের মতো ভ্যানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে এসব পণ্য বিক্রি করার কথা। তবে আজ শুক্রবার ভ্যানটি এসেছে দুপুর ১২টার দিকে। ছুটির দিনে এত দেরি করে ভ্যান আসায় ক্ষোভ জানান লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতারা।
দুপুর ১২টার কিছু আগে লাইনে দাঁড়ানো বাবুল মিয়া বলেন, ‘আমি সকাল আটটার দিকে এসেছি। মুরগি, গরু, দুধ, ডিম নেব। কিন্তু ১২টা বাজতে লাগল এখনো আসেনি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মুরগি ও গরু কিনতে পারেননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন। তিনি আজ সকাল পৌনে সাতটার দিকে এসে লাইনে দাঁড়ান। সামনে ঈদ। সে জন্য গরু ও মুরগির মাংস কিনবেন বলে জানালেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের ক্যাশিয়ার সাইফুর রহমান বলেন, মুরগি আসতে দেরি হওয়ায় তাঁরা সময়মতো আসতে পারেননি।
লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল একজন ক্রেতাকে একই সঙ্গে গরু ও মুরগির মাংস দেওয়া হয়নি। হয় গরু না হয় মুরগির মাংস পেয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে সাইফুর রহমান বলেন, গতকাল মাংসের সংকট থাকায় এ রকম ব্যবস্থা করা হয়।
আজ এই ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৮০ কেজি মুরগির মাংস, ১৫ কেজি খাসির মাংস, ৩০০ লিটার দুধ এবং তিন হাজার পিস ডিম বিক্রি করা হবে বলে জানান সাইফুর রহমান।