দেশে মাঝেমধ্যেই চালক বা সিগন্যালের ভুলে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার পর হতাহত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় ব্যবস্থাপনা ঠিক হয়নি। ট্রমা সেন্টার করা হলেও চালু হয়নি। একই লাইনে যাতে দুই ট্রেন ঢুকতে না পারে, সে জন্য প্রযুক্তি তৈরির দাবি করেছে একিট প্রতিষ্ঠান। সেটা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
ব্রিটিশ আমলে দিনাজপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন বিশিষ্ট কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, যাঁকে অনেকে চেনে ডি এল রায় নামে। তিনি একদা লিখেছিলেন, ‘নৌকা ফি সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে কলিশন হয়।’ কবির জন্ম ১৮৬৩ সালে, অর্থাৎ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের বছর দুয়েক পরে।
তবে দুজনেরই জন্মের আগে, ১৮৫১ সালের ২২ ডিসেম্বর ভারতে প্রথম রেল চালু হয়। সেই থেকে রেল মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কাব্য করে তাকে ‘কলিশন’ বলেছেন। ভৈরবে ২৩ অক্টোবর অনেকটা এই ‘কলিশনই’ হয়েছে। ভৈরব আউটার স্টেশনে একটি মালবাহী রেলগাড়ি যাত্রীবাহী আরেকটি রেলকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভৈরবে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রেনের মোট কত যাত্রী নিহত হয়েছেন, তা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। বলতে পারবে কেবল কতগুলো মরদেহ পাওয়া গেছে। যেমনটা বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরমান। ওই দিন তিনি বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যেকোনো দুর্ঘটনা-দুর্বিপাকে মৃতের সংখ্যা নিয়ে মতান্তর অনেকটা আমাদের স্বভাবের অংশ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পরপরই ভৈরবের এক সাংবাদিককে ফোন করেছিলাম। তিনি তাৎক্ষণিক জানিয়েছিলেন, ‘যাত্রীবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ২০ জন মানুষ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অনেক মানুষ ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে কাতরাচ্ছেন। রেল যোগাযোগ বন্ধ।’ তবে প্রথম আলোর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১৮।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। ওই হাসপাতালে এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা পর শেষ পর্যন্ত পরদিন ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ডাউন ও আপ—উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বগি দুটি লাইন থেকে সরিয়ে নিতে সারা রাত লেগে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথা থেকে বোঝা গেল, ট্রেন চলাচল ও শিডিউল (সময়সূচি) সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে দু-তিন দিন লেগে গেছে।
এখন যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো একটা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটলেই চৌদ্দটা কমিটি করে দিতে হবে। কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে তিন থেকে পাঁচ কর্মদিবস বেঁধে দেওয়া হবে। তারপর নিয়তি হয় ‘সাগর-রুনি’ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মতো। দিনের পর দিন যায়, আরেকটি ঘটনা আগের ঘটনাকে ভুলিয়ে দেয়। নতুন ঘটনায় চাপা পড়ে যায় আগের ঘটনা। এভাবে ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখে না।
গণমাধ্যম থেকে যতটুকু জানা গেছে, এবার ভৈরবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গোটা চারেক তদন্ত কমিটির কথা মোটামুটি জানা গেছে।
১. রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে (অডিট ও আইসিটি) আহ্বায়ক এবং উপসচিবকে (প্রশাসন-৬) সদস্যসচিব করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবেন। অবশ্য রেলের কর্তারা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, মালবাহী ট্রেনের চালক থামার সংকেত উপেক্ষা করে দ্রুত ট্রেনটি চালিয়ে এসে এগারসিন্দুর ট্রেনটিকে ধাক্কা দেন। তাঁদের সেই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২. রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে আছেন সিওপিএস মো. শহিদুল ইসলাম, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন, সিএসপি তুষার এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহাদ আলী সরকার।
৩. রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ও পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে আছেন ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকোমোটিভ), বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এবং বিভাগীয় সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন প্রকৌশলী, ঢাকা।
৪. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি ও ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদারকে সদস্যসচিব করে এই তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নরসিংদী উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক ও ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. আজিজুল হক।
এখানে বলে রাখা ভালো, এসব কমিটির কোনোটির কার্যপরিধি প্রচার বা প্রকাশ করা হয়নি। সন্দেহ হয়, আসলেই কোনো বিজ্ঞানসম্মত কার্যপরিধি আছে কি না। যদি থেকেই থাকে, তবে সেই কার্যপরিধি কি বহুল আলোচিত সেই কালো বিড়ালটা খুঁজে বের করতে পারবে? কমিটি কমিটিতে সয়লাব হওয়ার পরও কেন জানি মনে হয়, কোনো একটা কমিটি অথবা নতুন আরেকটি কমিটির কাজ হবে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা—১. কেন এত সংখ্যক আহত মানুষ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেলেন? ২. আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে কি কোনো গাফিলতি বা জ্ঞানের অথবা দক্ষতার ঘাটতি ছিল?
ভৈরবের দুর্ঘটনা প্রথম বা শেষ দুর্ঘটনা নয়, ফি সন অর্থাৎ প্রতিবছর রেলের কলিশন বা দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তাই দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনাটাও আমাদের আমলে নেওয়া জরুরি। দেখতে হবে, ভৈরবের কমলপুর এলাকায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি এখনো কেন চালু হলো না। এই সেন্টার চালু থাকলে হয়তো আহত ব্যক্তিদের ঢাকা পর্যন্ত পাঠাতে হতো না। এই ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। এতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৯ কোটি টাকা। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম চালু হয়নি। (প্রথম আলো, ২৫ মার্চ ২০২৩)
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ স্থানীয় উদ্যোগে সেখানে বহির্বিভাগ চালু করেছিল। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ট্রমা সেন্টারটি খুবই দরকার। ট্রমা সেন্টারটি চালু করতে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
কেন সাড়া মেলেনি, তার কোনো সঠিক উত্তর এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে নেই। সেই আবেদন আদৌ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছিল কি না, সেটাই-বা কে জানে। ওই সময় যদি তারা ট্রমা সেন্টারটি চালু করত, তাহলে এতগুলো মানুষ হয়তো বেঘোরে প্রাণ হারাতেন না।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, ভৈরবের কমলপুরের মতোই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে মাদারীপুরের শিবচর, কুমিল্লার দাউদকান্দির শহীদনগর, পাবনার আটঘরিয়া, বগুড়ার শেরপুর, সিরাজগঞ্জ সদর ও উল্লাপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, শরীয়তপুরের জাজিরা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা (মধুখালী), মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, ঢাকার ধামরাই, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, হাটহাজারী ও রাউজান, ফেনীর মহিপাল, ময়মনসিংহের ভালুকা, সুনামগঞ্জের ছাতক এবং হবিগঞ্জের বাহুবলের ট্রমা সেন্টার।
মহাসড়কের পাশে এসব জেলায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল, দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আহত ব্যক্তিদের সেখানে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া, যাতে আহত ব্যক্তিদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সারা দেশে এমন ২১টি ট্রমা সেন্টার (আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাকেন্দ্র) নির্মাণ করেছে। এর ১০টি ২০০৪-০৫ অর্থবছরে এবং ১১টি ২০১০ সালে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসব ট্রমা সেন্টারের ১৬টিতেই কোনো কার্যক্রম চালু নেই। দুটির নির্মাণকাজ চলছে। দুটিতে শুধু বহির্বিভাগ চালু আছে। একটি সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগ হিসেবে চালু রয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ট্রমা সেন্টারে সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক (কনসালট্যান্ট), তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট (অবেদনবিদ), দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সেন্টারেই পদ অনুযায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব কেন্দ্রে সরঞ্জামও দেওয়া হয়নি।
অনেক মানুষ যখন এক জায়গায় আহত হন, তখন তাঁদের চিকিৎসকদের কাছে টেনেহিঁচড়ে না নিয়ে বরং চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মীদের আহত ব্যক্তিদের কাছে নিয়ে আসার কথা ভাবা যেতে পারে। অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তুলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। টাঙ্গাইলের মিরিখপুরে, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় (হরগজ) টর্নেডোর পর ফিল্ড হাসপাতালের মাধ্যমে কার্যকর চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। রেলের স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া রেলে ভ্রমণ অসম্ভব। ফাঁকফোকর থাকলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এনআইডি শৃঙ্খলার বাইরে ছিল, এমন ভাবা ঠিক হবে না। তারপরও জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাত আটটার দিকে নিহত ১৭-১৮ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে বলে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে মরদেহ শনাক্তের কৌশলটি আরও বেগবান হওয়া উচিত।
এই প্রযুক্তির যুগে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ বা এক ট্রেনকে আরেক ট্রেনের ধাক্কার মতো দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ করা যেতে পারে। দুই বছর আগে দেশেরই একটি প্রতিষ্ঠান রেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ রোধে একটা প্রযুক্তি (কম্পিউটারাইজড সিস্টেম টু কন্ট্রোল রেলওয়ে ট্রাফিক) তৈরির দাবি করেছিল। এই প্রযুক্তি কতটা কার্যকর, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে।
ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এক লাইনে দুই ট্রেন কখনোই প্রবেশ করবে না, এমনকি রেলের সিগন্যাল ভুল হলেও না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি ট্রেনই থেমে যাবে। সেই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তার প্রযুক্তির কথাও জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি কতটা কার্যকর তা যাচাই করা যেতে পারে।
আমাদের সংকটের মূলে যেতে হবে। মুলার গন্ধে আমাদের মূলে যাওয়া হয় না। সেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। হাজার কোটি টাকা খরচের পরও কেন মানুষ তার সেই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখনো কেন ঘন ঘন মর্মান্তিক সব দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে? রেলের সেই কালো বিড়ালটা আসলে কোথায়?
গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক
nayeem5508@gmail.com