হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার ইফতেখার মাহমুদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এর আগে পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মাহমুদকে আদালতে হাজির করে সুমন সিকদার হত্যা মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন ডিবির গুলশান বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম খান।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই উত্তর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার মিছিল চলছিল। ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী সুমন শিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মাহমুদ জড়িত বলে জানা গেছে। রিমান্ড আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার মধ্য বাড্ডা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন সিকদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ইফতেখার মাহমুদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যা এবং হত্যাচেষ্টা ঘটনার বিভিন্ন মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ ৮৮ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, শহিদুল হক, অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ ছাড়া ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮৭ জন সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি। এ তথ্য পুলিশ সদর দপ্তরের। তবে এর বাইরেও অনেক পুলিশ সদস্য নানা কৌশলে বা কারণ দেখিয়ে কর্মস্থলে এখনো অনুপস্থিত রয়েছেন।
গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার দেশ ছাড়ার গুঞ্জন রয়েছে। আবার কেউ শিক্ষা ছুটি, কেউ অসুস্থতার কথা বলে কিংবা লিয়েন (অনুমোদন নিয়ে অন্যত্র চাকরি) নিয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।