রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেছেন, সর্বোত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য বাংলাদেশকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চুল্লি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অ্যালেক্সি লিখাচেভ এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
অ্যালেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, আগামী বছরের অক্টোবরে আরএনপিপির জন্য তাজা পরমাণু জ্বালানি বাংলাদেশে আসবে।
রোসাটম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে তাজা পরমাণু জ্বালানির আগমন উদ্যাপন করতে চান।
আরএনপিপির জন্য বাংলাদেশি জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন অ্যালেক্সি লিখাচেভ। তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে পরমাণুবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালাতে আগ্রহী।
এ ছাড়া রাশিয়া বাংলাদেশে পরমাণু শাসনের অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা দিচ্ছে বলে জানান অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
বৈঠকের শুরুতে অ্যালেক্সি লিখাচেভ আরএনপিপির কাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেন।
করোনা মহামারি চলাকালে সহায়তা প্রদান ও পুরোদমে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ার প্রতি, বিশেষ করে রোসাটম মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে স্বাধীনভাবে আরএনপিপি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম হতে পারেন, সে জন্য রাশিয়ান স্টেকহোল্ডাররা আরএনপিপির জনশক্তি উন্নয়নের ওপর জোর দিতে পারে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
বৈঠককালে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি উপস্থিত ছিলেন।