যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের (বাবুল) প্রার্থিতা বহালে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এনামুল হকের পক্ষে শুনানিতে থাকা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক পরে প্রথম আলোকে বলেন, এনামুলের প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এনামুল হক যথারীতি তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন।
এর আগে এনামুলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন যশোর-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন একই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিত কুমার রায় (বর্তমান সংসদ সদস্য)। আপিলে এনামুলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আপিলের শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে এনামুল হক ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এনামুল হক। এর ওপর ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে সেদিন চেম্বার আদালত এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এবং রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়। ফলে এনামুল হকের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, গত ১৯ ডিসেম্বরের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ওই দুই প্রার্থী আবেদন করেন। অন্যদিকে রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে এনামুল হক লিভ টু আপিল করেন। এই লিভ টু আপিল এবং চেম্বার আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে অপর দুই প্রার্থীর করা আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে এনামুল হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিত কুমার রায়ের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানজিব উল আলম।