দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারসহ ‘আধ্যাত্মিক’ স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৪৬ নাগরিক। তাঁরা মাজারসহ ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠান বা বাসাবাড়িতে হামলা হয়েছে। হামলার পর দোষীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ ছিল। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সমাজে গভীর বিভাজন সৃষ্টির জন্য এসব করেছিল বলে অনেকের ধারণা; কিন্তু হাজারো শহীদের রক্তে অর্জিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের নতুন সময়ে তারা কেন নিশ্চুপ, সেই উত্তর মিলছে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত কয়েক দিনে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সংগঠিত হয়ে মাজারসহ আধ্যাত্মিক স্থাপনায় হামলা হচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি মন্দিরে হামলা হতে। এসব ঘটনায় কাউকে বিচারের আওতায় আনতে বা মামলা করার খবরও পাওয়া যায়নি। মাজারে হামলার ঘটনায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তা সমাজের গভীরের ক্ষতকে বিস্তৃত করবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভেতর বিভাজন আরও বাড়াবে। যা আগের মতো অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করবে।’
তাই সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব অটুট রাখতে মন্দির-মাজারসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এখনই সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিশ্চুপ থাকার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তাঁরা।
বিবৃতিদাতারা হলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আবু সাঈদ খান, আবদুল হাই শিকদার, কাজল শাহনেওয়াজ, মুস্তাফা জামান, অরূপ রাহী, আর রাজী, রাখাল রাহা, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, বীথি ঘোষ, ফেরদৌস আরা, বাকী বিল্লাহ, সাঈদ বারী, এহসান মাহমুদ, রাফসান আহমেদ, সৈকত আমীন, সাদিক মোহাম্মদ আলম, পূরবী তালুকদার, মারজিয়া প্রভা, মোশফেক আরা, কামরুজ্জামান রিপন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোহাম্মদ রোমেল, মাসুদ ইমরান, মশিউল আলম, দীপক সুমন, সায়েমা খাতুন, হেলাল মহিউদ্দীন, লতিফুল ইসলাম, রেজাউর রহমান, সালাহ উদ্দিন, মারুফ মল্লিক, সাখাওয়াত টিপু, ওমর তারেক চৌধুরী, মোশরেকা অদিতি হক, কাজী জেসেন, রায়হান রাইন, জি এইচ হাবীব, শরৎ চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, তুহিন খান, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, আ-আল মামুন, অমল আকাশ, মাহবুব রাহমান ও পলিয়ার ওয়াহিদ।