আলোচনায় বসলে নতুন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। যদি তাঁরা আলোচনায় বসেন, তবে এই পেনশন কর্মসূচি কোনো যুক্তিতে থাকবে না। কারণ, যাঁরা এই কর্মসূচি ঠিক করেছেন, দুর্বল পরিকল্পনায় এটি করেছেন।
আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার, স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ও দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন না করে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা। আজ অষ্টম দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন তাঁরা।
সেখানে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘যত দিন এই পেনশন কর্মসূচিটি বাতিল হচ্ছে না এবং কমিশনের সঙ্গে কথা বলে নতুন পেনশন কর্মসূচি চালু হবে না, তত দিন পূর্বের পেনশন কর্মসূচি চালু রাখতে হবে।’
শিক্ষকদের টানা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ও কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমাদের খারাপ লাগছে। কারণ, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা, ল্যাবে রাখতে পারছি না। তাদের যা প্রয়োজন ছিল, তা দিতে পারছি না। তবে এই দাবি ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতায় আসবে, তাদের জন্যও।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসানের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকেরা অংশ নিয়ে এসব বক্তব্য দেন।