হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি, ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নোয়াখালীর মাইজদীর কলেজছাত্র মাহমুদুন নূর মাহমুদের হাত হারানোর ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৮ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

এর আগে ‘হাত হারানো মাহমুদ লড়ছেন, দুর্ঘটনার দায় নিচ্ছে না কেউ’ শিরোনামে গত ১৪ মার্চ প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মাহমুদের বাবা আনোয়ারুল করিম রিটটি করেন।  

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

পরে আইনজীবী সাকিব মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মাহমুদের হাত হারানোর ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় কার দায় ও অবেহেলা রয়েছে, তা নিরূপণ করবে কমিটি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকসহ ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। মাহমুদকে ১০ কোটি টাকা কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’

প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নোয়াখালীর মাইজদীর শহর মসজিদ মোড়সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্মিত পদচারী-সেতুর ওপর দিয়ে গেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। ওই সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন কলেজছাত্র মাহমুদুন নূর মাহমুদ (১৮)। একই ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। তাঁরা সবাই শহরের পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

আরও বলা হয়, গুরুতর আহত মাহমুদুন নূরকে প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মাহমুদুন নূরের বাঁ হাতের নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। ১১ হাজার কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের বিদ্যুতে ঝলসে গেছে মাহমুদুনের বুক, পেটসহ শরীরের অনেকাংশ।