কোনো কোনো বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া চার বছরেও শেষ হয় না। এ দীঘ৴সূত্রতা কমিয়ে এক বছরের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ ছাড়া বিসিএস পরীক্ষার্থীদের নানা ভোগান্তি দূর করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেন তাঁরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি চাকুরীতে নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং পিএসসির সংস্কার’ শীষ৴ক সেমিনারে ১০টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। ‘সরকারি চাকুরীপ্রত্যাশী সাধারণ প্রার্থীবৃন্দ’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমাতে হবে; প্রিলিমিনারি (প্রাথমিক বাছাই), লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করতে হবে; নন–ক্যাডার নিয়োগ বাড়াতে হবে; প্রয়োজনে ২০২৩–এর নন–ক্যাডার বিধি বাতিল বা সংস্কার করতে হবে; পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগে সততা ও যোগ্যতা দেখতে হবে, নিয়মিত সবাইকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে; পিএসসির জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দাবিগুলো উল্লেখ করে সভার মূল বক্তব্য পাঠ করেন শরীফুল হাসান। তিনি বলেন, পরীক্ষক ও নিরীক্ষকদের খাতা দেখার সময় বেঁধে দিতে হবে। পিএসসির কম৴কতা৴দের নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ সংস্কারে পিএসসির স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক যুগ্ম সচিব ওয়াসিম জব্বার। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আথি৴ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা প্রয়োজন। তাহলেই দ্রুত সংস্কার সম্ভব হবে।
বিসিএস পরীক্ষায় প্রিলিমিনারির পরিবতে৴ বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাচেতনা যাচাই করার মতো প্রশ্ন করা উচিত বলে জানান ফামে৴সি অনুষদের অধ্যাপক আশরাফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, মৌখিক পরীক্ষার ২০০ নম্বর কমিয়ে ৫০ করা প্রয়োজন। সঙ্গে মনস্তত্ত্ব যাচাই কারার একটি পরীক্ষা যুক্ত করা যেতে পারে।
দেশে সরকারি চাকরির পরীক্ষার সাবি৴ক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য উল্লিখিত দাবিগুলো যথেষ্ট বলে উল্লেখ করেন ফামে৴সি অনুষদের ডিন সেলিম রেজা। ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস আল মামুন বলেন, পিএসসির ওপর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে হবে।