দক্ষিণের পথে রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, ট্রেনে চড়ে গেলেন মাওয়া থেকে ভাঙ্গা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশের দক্ষিণের পথে রেলপথ উদ্বোধন করেছেন
ছবি: বিটিভির ইউটিউব থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণের পথে রেলপথ উদ্বোধন করেছেন।

উদ্বোধনের পর মাওয়া রেলস্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনের দিকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী স্টেশনে টিকিট কাটেন।বেলা দুইটার পরে তিনি ভাঙ্গায় পৌঁছান। এই ট্রেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন।

ইউএনবির খবর বলছে, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে সচিব মো. হুমায়ুন কবির।

পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথটি ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর-ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এই রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

উদ্বোধনের পর বিশেষ ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

চীন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে সরকারপ্রধানের জন্য ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

বেলা দুইটায় ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে ট্রেন। মাওয়া এলাকা, ১০ অক্টোবর।

উদ্বোধনের পর শিগগিরই এই পথে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। তবে এখনো দিন-তারিখ ঠিক হয়নি।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু করা হয়। দ্বিতল এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর ভেতরে রয়েছে ট্রেন চলাচলের পথ। পদ্মার দুই পাড়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে নেওয়া হয় আলাদা প্রকল্প, যা পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প নামে পরিচিত।

মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে ট্রেন। মাওয়া এলাকা, ১০ অক্টোবর।

বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৩ জেলায় রেলপথ রয়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে।

বিশেষ ট্রেনে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

২০৩০ সাল নাগাদ রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে প্রতিদিন ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। একইভাবে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে প্রতিদিন সাত জোড়া ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে প্রতিদিন চলবে পাঁচ জোড়া ট্রেন।