নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা দুষ্কৃতকারীদের জন্য শত্রু এবং যাঁরা ভালো তাঁদের জন্য মিত্র হিসেবে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঢাকায় বসে তা পর্যবেক্ষণ করে ইসি। এতে ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ায় পুরো আসনের ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা হয়। সরকারি দলের নেতাদের কেউ কেউ ইসির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে গতকাল রোববার গণমাধ্যমে ব্যাখ্যা দেয় ইসি।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ইসি কেমন ফল পেয়েছে, তা সবাই জানেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, জেলা পরিষদের নির্বাচনে ইসি ভালো ফল পেয়েছে। সামনে যে পৌরসভা নির্বাচনগুলো হবে, সেখানেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘যাঁরা দৃষ্কৃতকারী, তাঁদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যাঁরা ভালো, তাঁদের মিত্র হিসেবে কাজ করে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, বাজেটপ্রাপ্যতা সাপেক্ষে জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি। অতীতে ইসি যেমন সুফল পেয়েছে, ভবিষ্যতেও পেতে চায়। তাঁরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসেননি, তাঁরা ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে চান।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করে ইসি কোনো চাপে আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাঁরা কখনো চাপের মধ্যে ছিলেন না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। তারা তিন দিন সময় চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।