ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আরেক মামলার আবেদন

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলার আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আবেদনে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ছাত্রলীগের ২২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জন জড়িত বলে তারা আবেদনে উল্লেখ করেছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা (সাবেক সমন্বয়ক) আরমান হোসেন। এর আগে একই ঘটনায় ২১ অক্টোবর শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা (সাবেক সমন্বয়ক) মাহিন সরকার। সেখানে ৩৯১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮০০ থেকে ১ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আজকের মামলার আবেদনের বিষয়ে সন্ধ্যায় শাহবাগ থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। সেখানে সংগঠনের নেতা (সাবেক সমন্বয়ক) আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ২১ অক্টোবরের মামলায় যাদের নাম বাদ পড়েছিল এবং যারা মূল হোতা ও উসকানিদাতা, তাদের অন্তর্ভুক্ত ও সমন্বয় করে এই মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরমান হোসেন।

পরে মামলার বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন আরমান হোসেন। তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও এদের অন্য অঙ্গসংগঠনের নির্মম হামলা ও অত্যাচার করেছে। সেই ঘটনায় করা আগের মামলায় কিছু আসামি বাদ পড়ে যায়। হামলার কিছু মূল হোতা সেই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ১৫ জুলাইয়ের হামলায় যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে, সরাসরি মদদ দিয়েছে এবং যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অবৈধভাবে বাধা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা। ছাত্রীদের হলগুলোতে ছাত্রলীগের পদধারী যেসব নেত্রী অবৈধভাবে আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়েছে, তারাও আসামি হয়েছে। মামলার ১৯৮ থেকে ২২০ নম্বর আসামি হয়েছেন ওই নেত্রীরা।

হোমওয়ার্ক, এক সপ্তাহ ধরে নিজস্ব পর্যালোচনা, তালিকা প্রণয়ন এবং নিজস্ব নিরীক্ষার ভিত্তিতে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে আরমান দাবি করেন।