ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গণমাধ্যমের ওপর দেশটির ভিসা নীতি প্রয়োগ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২০৪ জন নাগরিক। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এই উদ্বেগের কথা জানান। তাঁদের মতে, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের তৎপরতা প্রকারান্তরে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে অন্তরায়। এই বিবৃতিদাতাদের মধ্যে শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশক, শিল্পী, গবেষক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি মহল গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসা নীতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। সেটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায় বলে প্রচার করছে। অথচ তারা দেশের গণমাধ্যমের চরম বিপর্যয়ে চুপ ছিল। এখনো চুপ আছে। কেননা, এই মহলের অনেকে সুবিধাভোগী, সরকারসংশ্লিষ্ট ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার অংশীদার। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধার সৃষ্টির জন্যই তাঁরা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একতরফা ও প্রশ্নবিদ্ধ দুটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছলে বলে কৌশলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। বল প্রয়োগ করে সভা-সমাবেশে সংগঠিত অধিকার এবং সব উপায়ে মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিহত করে চলেছে। গুলি, লাঠিপেটা, আক্রমণ, আঘাত, গুম, খুন, গ্রেপ্তার, গণগ্রেপ্তার, মামলা, গায়েবি মামলার মাধ্যমে পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
দেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জাজনক হলেও এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভিসা নীতি প্রণয়নের পর সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের পরিসর বিস্ময়করভাবে বেড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই মহল এর আগে দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম প্রথম আলো নিষিদ্ধ করার জন্য এবং বিতর্কিত আইনে দায়ের করা মামলায় পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রতিবেদকে গ্রেপ্তারের অন্যায় দাবি জানিয়েছে। ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদকের অপসারণ দাবি করেছে। বিভিন্ন সময় ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের গণমাধ্যম বন্ধ করার দাবি তুলেছে। গণমাধ্যম বন্ধে সরকারের পদক্ষেপে সমর্থন দিয়ে এসেছে। এই গোষ্ঠী গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নিপীড়নমূলক পদক্ষেপে বরাবরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন জুগিয়েছে। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে তাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য-বিবৃতি প্রকারান্তরে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থাকে রক্ষারই আয়োজন এবং এই তৎপরতা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে অন্তরায়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমেও সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরি করা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য, গণমাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ নেই। সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতির কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উদ্বেগজনকভাবে সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর প্রতি সরকারের বৈরী নীতির কারণে সেগুলোয় অস্বস্তি ও ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে নিশানা করে বিজ্ঞাপন বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় সেগুলো লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সমর্থক প্রায় সব গণমাধ্যম এই সরকারের আমলে হয় বন্ধ হয়েছে, নয়তো মরণাপন্ন অবস্থায় কোনোরকমে টিকে আছে। নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের মধ্যে জেল-জুলুমের তীব্র ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, নিপীড়ন, মারধর, আক্রমণ, এমনকি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ অবস্থায় গণমাধ্যমে অবাধ তথ্যপ্রবাহের সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করতে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমবিরোধী অবস্থান থেকে সরকারকে সরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ দরকার।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে বন্ধ করে দেওয়া ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সব পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও নিউজ পোর্টাল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে সই করেছেন অধ্যাপক ও লেখক রায়হান রাইন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন, শিল্পী অরূপ রাহী, দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, নারী অধিকারকর্মী দিলশানা পারুল, শিক্ষক আর রাজী, আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ, শিল্পী মুস্তাফা জামান, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক সায়মা আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী সায়েমা খাতুন, লেখক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, লেখক জিয়া হাশান, শিক্ষক অধ্যাপক আল মামুন, লেখক আবু সাঈদ আহমেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি ও সাংবাদিক অর্বাক আদিত্য, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ, লেখক ও অনুবাদক লুনা রুশদী, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর, কবি মজনু শাহ, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, লেখক জামাল আবেদিন ভাস্কর, লেখক আসিফ সিবগাত ভূঞা, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, গবেষক ও অধিকারকর্মী রেজাউর রহমান (লেনিন), লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট তুহিন খান, কবি বায়েজিদ বোস্তামী, কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক, গণমাধ্যম বিশ্লেষক ফাহমিদুল হক, সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার, সাংবাদিক শাহেদ আলম, মেজর (অব.) শাফায়াত আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম, লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, লেখক জিয়া হাসান, লেখক রাখাল রাহা, প্রকাশক মাহাবুব রহমান, লেখক ও বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম পারভেজ, সাংবাদিক মনির হায়দার, আইনজীবী মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান, আইনজীবী জর্জ চৌধুরী, আইনজীবী মো. তারিকুজ্জামান, বিএফইজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএফইজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাংবাদিক এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইলিয়াস খান, আইনজীবী এহতেশামুল হক, লেখক মারুফ মল্লিক, লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ, লেখক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী রোজিনা বেগম, কবি হাসান রোবায়েত, সাখাওয়াত টিপু, রুহুল মাহফুজ জয়, কবি ও অনুবাদক ইরফানুর রহমান রাফিন, সাহিত্যিক গাজী তানজিয়া, প্রকাশক সাঈদ বারী, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মো. মাসুদ আলম, অধ্যাপক আল আমিন, অধ্যাপক মো. জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক দেবাশিষ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংগঠক এরশাদ নাবিল খান, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক শরিফ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক মো. মেহেদি হাসান খান, অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক মো. মোকলেসুর রহমান, অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ, অধ্যাপক শেখ সিরাজুল হাকিম, অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া, অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম সরকার, অধ্যাপক এ কে এম রুহুল আমিন, অধ্যাপক মো. সারোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শাহনাজ সরকার (রুমা), অধ্যাপক মো. ফারুক হাসান, অধ্যাপক কুদরত-ই জাহান, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক মো. এস এম হেমায়েত, অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক জাকারিয়া, অধ্যাপক মো. লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক সাইফুল হুদা, অধ্যাপক আনোয়ারল কবির ভুইয়া, অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মো. আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এ কে এম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মো. আবু জোবায়ের, অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক এস এম আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম, অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ মেহেদি মাসুদ, অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, অধ্যাপক মো. শাহ এমরান, অধ্যাপক. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াস, অধ্যাপক মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, অধ্যাপক দিলিপ কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন রশিদ, অধ্যাপক মো. আবুল হাসান, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল, অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক নিয়ামুল কাদির, অধ্যাপক খন্দকার এনামুল হক, অধ্যাপক জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক মো. আসাদুল হক, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হোসেন, অধ্যাপক মো. মঞ্জুর উল হায়দার, অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. সামিউল আহসান তালুকদার তুষার, অধ্যাপক মো. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক মো. ইসরাফিল পরাগ, অধ্যাপক শাহীনা শাহনাজ, অধ্যাপক মো. রবিউল হক, অধ্যাপক কাজী আহসান হাবীব, অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, অধ্যাপক ইয়ানুর কবির, অধ্যাপক মো. আমিনুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক সামিনা সুলতানা, অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলামা জাহিদ, অধ্যাপক নাসিফ আহসান, অধ্যাপক মো. আক্তার হোসেন, অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক মো. মেজবাউল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক তানভীর আহসান, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. ইমাম হোসেন, অধ্যাপক মো. রাইসুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শের মাহমুদ, অধ্যাপক নাজমুস সাদাত, মো. তানজীল হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল করিম, অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক, অধ্যাপক মো. সোয়েব উল্লাহ, মো. শফিউল আলম, অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আবু জাফর খান, দেবাশীষ পাল, অধ্যাপক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, অধ্যাপক মো. মাসুদুল হাসান খান, অধ্যাপক এস এম আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, কবি ও সম্পাদক শওকত হোসেন, অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক মো. তোজাম্মেল হোসেন, লেখক ইমতিয়াজ মির্জা, অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী জ্যোতি রহমান, লেখক সিথি কামাল হাইমান, কলামিস্ট সুহাইল বিন আলম, অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব, বিডি ফ্যাক্টচেকের প্রতিষ্ঠাতা জাহেদ আরমান এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম আদিব।