মুক্তিপণ নিয়ে তীরে ওঠার পর আট জলদস্যু গ্রেপ্তার

সোমালিয়াভিত্তিক ‘গারোই’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের একাংশের স্ত্রিনশট
সোমালিয়াভিত্তিক ‘গারোই’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের একাংশের স্ত্রিনশট

মুক্তিপণ নিয়ে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। শনিবার সোমালিয়ার সময় দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে তীরের দিকে চলে যায়। তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আট জলদস্যুকে দেশটির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর দিয়েছে সোমালিয়ার একটি স্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম।

‘গারোই’ নামের ওই অনলাইনের প্রতিবেদনে সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা আট দস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। তবে জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছিল দস্যুরা।

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর একজন নাবিক হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের জানান, শনিবার বিকেলে উড়োজাহাজ থেকে ব্যাগভর্তি ডলার জাহাজের পাশে ফেলা হয়। দস্যুরা তা কুড়িয়ে নিলেও জাহাজে অবস্থান করছিল। মূলত নৌবাহিনীর জাহাজ ও পান্টল্যান্ড পুলিশের নজরদারি এড়াতে গভীর রাতে তারা জাহাজ ছেড়ে যায়।

এরপর আট দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গারোইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পান্টল্যান্ড পুলিশের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে গত ১৭ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল পুলিশের ওয়েবসাইটে।