নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভা করে ইসি। সেখানে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে ওই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ–মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক (ডিসি), আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপাররা (এসপি) অংশ নেন।
সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আজকের সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে, তাই সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলার সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে কোথাও কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইসি সচিব বলেন, আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্মকর্তারা অনুরোধ করেছেন। নির্বাচন কমিশনও আশ্বস্ত করেছে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে ইসি সচিব জানান। এ ছাড়া প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, জেলা কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে। সাধারণ কেন্দ্রে চারজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন সদস্য থাকবে। পার্বত্য জেলার নির্বাচনে সতর্কতার জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বের জন্য বলা হয়েছে।
সচিব জানান, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে যে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে, কমিশন সেটা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।