নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার র্যাব সদর দপ্তর এই তদন্ত কমিটি গঠন করে। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রথম আলোকে বলেন, সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় সংস্থার (র্যাব) সদস্যদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে র্যাবের কারও বিরুদ্ধে জড়িত থাকার ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্তে কিছুটা সময় লাগবে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছেন আদালত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা দাখিল করা হচ্ছে।
সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্ত (পোস্টমর্টেম) প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে এসব কাগজ ও তথ্য আজ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
র্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বজনদের অভিযোগ, আটক হওয়ার আগে সুলতানা জেসমিন সুস্থ ছিলেন। র্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।