২০১৮ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ২০২২ সালে তৈরি করা সংশোধিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা কেন অবৈধ হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন (মুক্তিযোদ্ধা) গত মাসে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুসারে ছেলে–মেয়ে ও নাতি–নাতনিরা মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা পাবে। সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুসারে তালিকাভুক্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছাড়া সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই আইনে বিশেষ শ্রেণি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ এই শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা করে জামুকা ২০২২ সালে সংশোধিত তালিকা তৈরি করে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়। তালিকাভুক্ত কোলাবরেটরস (রাজাকার) ছাড়া দেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুল হয়েছে।