যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান আগামী শনিবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন।
অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি ভারত–মহাসাগরীয় কৌশলের (আইপিএস) বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসছেন। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম দক্ষিণ এশিয়া সফর।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান বাংলাদেশ সফরের সময় গণতন্ত্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, মৌলিক নাগরিক অধিকারসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
খসড়াসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও তাঁর মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে একটি আলোচনায় তিনি অংশ নিতে পারেন।
নিরাপত্তাজনিত কোনো উদ্বেগ না থাকলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে আগ্রহী। তা ছাড়া ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে অনুষ্ঠেয় একটি বৈঠকেও তিনি অংশ নিতে পারেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ট্রিভেলিয়ানের সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তিনি সরাসরি চীন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ব্রিটেনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখভাল করেন। তা ছাড়া ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, বিশেষত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক কূটনীতি, প্রযুক্তির বিস্তার ও ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের স্বার্থে আঘাত বা প্রতিবন্ধকতায় নিষেধাজ্ঞার মতো বিরক্তিকর ইস্যুতে কনজারভেটিভ পার্টি ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অ্যান মারির মূল্যায়নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় নতুন দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।