ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আন্দোলনের সময় আহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ঘোষণার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন: মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, এখন পর্যন্ত ৭৫৭’ শিরোনামে গত ২৪ আগস্ট প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত রোববার রিটটি করেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী নাজির শাহীন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. রায়হান আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
পরে আইনজীবী মো. রায়হান আলম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সব আহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো মাসিক আর্থিক সুবিধা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, স্বাস্থ্যসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।