নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে পা বাঁধা এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ফিরোজা বেগম (৭৫)। আজ শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের পঞ্চায়েত বাড়ির পুকুরপাড় থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ফিরোজা বেগমের স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁর তিন ছেলে একই বাড়িতে যাঁর যাঁর ঘরে থাকতেন। আজ সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে প্রতিবেশী এক নারী বাড়ির পুকুরপাড়ে ওই বৃদ্ধার পা বাঁধা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। পরে তাঁর বড় ছেলে রফিক উল্যাহসহ অন্যরা এগিয়ে আসেন। এ সময় ফিরোজা বেগমের ঘরের সিঁধ কাটা দেখা যায়। লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।
ফিরোজা বেগমের বড় ছেলে রফিক উল্যাহ বলেন, সকালে তিনি গোয়াল ঘরে কাজ করছিলেন। এমন সময় তাঁদের বাড়ির এক শিশু পুকুরপাড়ে তাঁর মায়ের লাশ পড়ে আছে জানালে তিনি দ্রুত সেখানে যান। তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওই ঘরে তাঁর মা একাই থাকতেন। কারা তাঁর মাকে মেরে ফেলেছে, তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো অজানা। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।