দোহার ও নবাবগঞ্জে খাসজমি বরাদ্দে অনিয়মের তদন্ত শুরু

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুরের দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী মনির খানের আলিশান বাড়ি। ভূমিহীন হিসেবে তিনি খাসজমি বরাদ্দ পেয়েছেন
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় খাসজমি বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের বিষয়ে গতকাল রোববার প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নেতৃত্বে এই তদন্ত শুরু হয়েছে।

গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘আলিশান বাড়ির মালিক যখন ভূমিহীন’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যদি সচ্ছল পরিবারের ভূমি পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের ভূমি বরাদ্দ বাতিল করা হবে। প্রকৃত ভূমিহীন যাঁরা রয়েছেন, শুধু তাঁরাই খাসজমি বরাদ্দ পাবেন।

এদিকে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দড়িকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলম বলেন, ‘প্রথম আলোতে খাসজমি বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবেদন পড়ে আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে যাই।’ ছাপা কাগজ না পেয়ে অনেকে এই নিউজ ফটোকপি করে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাই।’

দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, খাসজমি বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। প্রকৃত ভূমিহীনেরা যাতে ভূমি বরাদ্দ পান, তা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।