ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার কমিশন বলেছে, এ ধরনের আচরণ বর্বর ও কুরুচিপূর্ণ। আর আসক বলেছে, এসব ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে।
দুই বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, মারধর এমনকি বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের চার ছাত্রকে প্রধান ছাত্রাবাসের তিনতলার একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক ছাত্রকে হলের একটি কক্ষে আটকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা চার ঘণ্টা ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, অশালীন ভাষায় গালাগালসহ নানাভাবে হয়রানি করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাঁদের দ্বারা এমন বর্বর ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এমন কর্মকাণ্ড নিবারণের উপায় নিয়ে আমাদের সবার এখনই ভাবতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় ও মূল্যবোধের অভাব এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানায় কমিশন।
আসকের বিবৃতিতে বলেছে, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণের গুরুতর অভিযোগ আগেও এসেছে। এসব ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। ছাত্রলীগের মতো প্রাচীনতম একটি ছাত্রসংগঠনের এমন আচরণ সংগঠনটির ভাবমূর্তি আরও বিনষ্ট করছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে দলীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে আসক।